বিকল্প চাষ হিসাবে পদ্ম ফুলের চাষ হাসি ফুটিয়েছে বেকারদের মুখে

14th October 2020 11:00 am হুগলী
বিকল্প চাষ হিসাবে পদ্ম ফুলের চাষ হাসি ফুটিয়েছে বেকারদের মুখে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : লকডাউনে কর্মহীন হতাশার খবর আমরা অনেক পেয়েছি। এবার লকডাউনের সময় ডিভিসির পরিত্যক্ত নয়ানজুলিতে পদ্ম ফুলের চাষ করে নতুন আয়ের দিশা দেখালো ধনেখালির দশঘড়ার একদল যুবক। আয়ের নতুন দিশা দেখে উৎসাহিত হচ্ছে এলাকার যুবকরা।কেউ রাঁধুনি, কেউবা দিনমজুর লকডাউনে কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়েছিল সকলে। কাজ হারিয়ে গ্রামের পাঁচ যুবক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কিভাবে সংসার চলবে আলোচনা করছিল। হঠাৎই চোখে পড়ে হুগলী ও বর্ধমান জেলার সংযোগস্থলের শ্রীকৃষ্ণপুরে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত নয়ানজুলি। পাঁচজন সিদ্ধান্ত নেয় নয়নজুলি পরিষ্কার করে পদ্ম ফুল চাষ করবে। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ। মাত্র ২-৩ হাজার টাকা জোগাড় করে পাঁচ বন্ধু। নিজেদের পরিশ্রমে তৈরি করে পদ্ম চাষের উপযুক্ত জলাশয়। কয়েক মাসের মধ্যেই পদ্মফুল ফোটে। চাহিদা বাড়তে থাকে ফুলের। নতুন আয়ের পথে সফলতা দেখে সকলে। পাশাপাশি গ্রামের যুবকরাও উৎসাহিত হচ্ছে পদ্ম চাষে।প্রায় তিন বিঘা জলাশয়ে ৭০ টি পদ্ম গাছ  ৮-১০ ফুট অন্তর লাগানো হয়। ফুল ফোটা শুরু হতেই স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ীরা ফুল কিনতে আগ্রহ দেখায়। সারাবছর পদ্ম ফুলের চাহিদা থাকে । দুর্গাপুজোর সময় ভাল দাম পাওয়া যায়। প্রতি ফুল ৮-১০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। পদ্মপাতা প্রতিটির দাম ১টাকা।  আগামী দিন পদ্ম চাষ বেকারদের নতুন আয়ের দিশা দেখাবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।